দরজা বন্ধ, কলিং বেলে হাত, শ্রবণ উৎকর্ণ
হৃদয় সেখানে নেই।
বৃষ্টি রমণীয়, নীল সঙ্ঘ ভাঙা বৃষ্টি, শরীর ভিজিয়ে এসে
শুষ্ক মুখ—
আঙুলে আঙুল ছোঁয়া, আরও কাছে, বুকে মিশলো বুক,
চাপ, আরও চাপ,
প্রথমে ঘাড়ের পাশে, পরে ঠোঁটে ঠোঁট–ঠিক সেই মুহুর্তে
একটা চিৎকার করে উঠতে ইচ্ছে হয়।
নিছক চিৎকার, তার ভাষা নেই, এইমাত্র যেরকম হৃদয়হীন সিঁড়িভাঙা
(ওঠা সাবধানী, নামার সময় যে-কোনো মুহুর্তে গড়িয়ে পড়ার মতন—
গড়িয়ে পড়ার ঠিক আগে সেই যে মুহূর্তটা)
গাছ থেকে খসে পড়া ঘুরন্ত পালকের মতন এক একটা স্বপ্ন
কখনও যেন হঠাৎ হাঁটু দুমড়ে আসে, নদী আড়াল করে দাঁড়ায় বন্ধু
কাঁচ ভাঙা হাসি প্রত্যেকবার মনে হয় অচেনা
মৎস্য চিহ্নিত দেয়ালে, সঙ্কেত অগ্রাহ্য করি, কিশোরীর
সুরেলা কণ্ঠে ‘বেলা যায়’
আর চমকে দেয় না
বিশাল আলমারির চাবি হারালে, মনে হয় এই বুঝি সেই,
কত্তিজর দিকে চোখ, পেশী শক্তিশালী
মনে হয়, এবার—
কিছুই হয় না।
ইস্পাতও বশ্যতা স্বীকার করে, পথ পাদপ্ৰদীপ হতে চায়
খরার নামে যেরকম ছুটে আসে বিশ্বব্যাপী দয়া
চাপা পড়ে যায়। সেই আসল সময়–
শুধু সাবধানে সিঁড়িভাঙা
নামার সময় যে-কোনো মুহুর্তে গড়িয়ে পড়ার মতন–
থমকে আছে কোথাও, ছুঁতে পারছি না।